চোখের সামনেই লুট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার মাছ
- আপলোড সময় : ০৭-০৩-২০২৫ ০৫:৫১:৫১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৭-০৩-২০২৫ ০৫:৫১:৫১ পূর্বাহ্ন

সামছুল ইসলাম সরদার ::
দিরাইয়ে ইজারাকৃত জলমহালের মাছ লুটের ঘটনা থামছেই না। সর্বশেষ বৃহ¯পতিবার উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের কাটুয়া বিলের মাছ লুট করে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। এতে যেকোন সময় ইজারাদার ও উচ্ছৃঙ্খল জনতার মাঝে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সচেতনমহল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, করিমপুর ও জগদল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের জনগণ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিলের পাড়ে মাছ ধরতে জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১১টার দিকে কয়েক হাজার লোক ইজারাদারদের ও প্রশাসনের অনুরোধ উপেক্ষা করে বিলে মাছ ধরতে নামেন। দিনভর চলে মাছ লুটের উৎসব। ইজারাদারদের চোখের সামনেই লোট হয় জলমহালের মাছ।
একাধিক ইজারাদার হতাশার সুরে বলেন, আমাদের এলাকার কামানবিল, মেঘনা, হাতনি কাটুয়া অনেক বড় বিল, সরকার এসব বিল থেকে অনেক রাজস্ব আদায় করে। আমরা সরকারি বিধি অনুযায়ী বিলের রেন্ট দিয়ে জলমহাল ইজারা এনে প্রচুর অর্থ খরচ করে বিল সাজিয়েছি। অনেক জলমহাল এবার ফিসিং করার কথা, আবার অনেক বিল আগামী বছর ফিসিং করার কথা থাকলেও এলাকার উচ্ছৃঙ্খল জনগণ আমাদের সবকিছু লুট করে নিয়েছে। আমরা প্রশাসন মিলে ও তাদের সামাল দিতে পারিনি। আমরা অনেক দিন ধরে জলমহাল ইজারা এনে থাকি, এবারই প্রথম মাছ লুটের শিকার হই। আমরা আইনের আশ্রয় নেব।
এলাকার বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানান, যেভাবে ইজারাকৃত জলমহাল লুট হচ্ছে যে কোনো সময় ইজারাদার ও লুটপাটকারীদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা চেষ্টা করেও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে সামাল দিতে পারিনি, অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব সরকার বলেন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে ও উচ্ছৃঙ্খল জনগণকে সামাল দিতে পারিনি। এভাবে সরকারি ইজারাকৃত জলমহাল লুটের ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ